চলতি মাসেই ঢাকায় সফর করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল। ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে সংস্কার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে দলটি।
তবে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় সংস্থাটির মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের শেষ তিন মাসে দুই লাখ কোটি টাকার বেশি এবং আগামী অর্থবছরে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের চাপ রয়েছে, যা বাস্তবায়নে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।
অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, কিছু ক্ষেত্রে আইএমএফের পরামর্শ গ্রহণযোগ্য হলেও রাজস্ব ও জ্বালানি ভর্তুকি বিষয়ে তাদের অবস্থানে পরিবর্তন দরকার। তিনি বলেন, “বাস্তবতা বিবেচনায় এই বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে আলোচনা হওয়া উচিত।”
আইএমএফের শর্ত মেনে চলতি অর্থবছরের মাঝপথে শুল্ক ও কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যা ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের ওপর চাপ ফেলেছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, “অতিরিক্ত করে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যার দায় আইএমএফ নেবে না।”
তিনি আরও বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নেও ভর্তুকি চলে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জোর করে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার চাপ সঠিক নয়।”
তবে সরকার আশ্বস্ত যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো। ফলে আইএমএফ-এর অর্থ ছাড় নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ নেই। তবে এই অর্থ ছাড়ে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ সহযোগিতাও নির্ভর করছে।