আওয়ামী লীগ এবং এর মিত্র দলগুলো যেন আগামী ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে—সেই দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। দলটির পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের নিবন্ধন স্থগিতের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের কাছে প্রথমবারের মতো দলের আয়-ব্যয়ের বার্ষিক হিসাব জমা দেন।
রাশেদ খান জানান, ২০২৪ সালে গণঅধিকার পরিষদের আয় ছিল ৪৬ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা এবং ব্যয় ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮ টাকা। এতে দলের উদ্বৃত্ত রয়েছে ১৩ হাজার ২১২ টাকা।
তিনি বলেন, “গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন দেশের জন্য লজ্জাজনক ছিল। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
রাশেদ অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না থাকলেও তারা জাতীয় পার্টির ছায়ায় ফিরে আসতে পারে। এজন্য ওইসব দলের নিবন্ধন স্থগিত না করলে নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হবে।”
তিনি আরও জানান, তারা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের নিবন্ধন স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন। তবে সিইসি জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ না করলে ইসির পক্ষে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, “নির্বাচন কমিশন একা নির্বাচন করতে পারে না। সকল রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের জন্য কাজ করা সহজ হবে।”