ঢাকার নবাবগঞ্জ ও দোহার এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী রেশমী আক্তারকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, সাবেক সরকারে প্রভাবশালী নেতা সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রেশমী আওয়ামী আমলে ভয়ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করলেও সরকার পরিবর্তনের পরও তার দাপট কমেনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রেশমী আক্তার এবং তার স্বামী আবুল হোসেন মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন এবং ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করছেন। আওয়ামী লীগের পতনের পর তিনি নিজেকে আবারও জাতীয় পার্টির নেত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি নবাবগঞ্জ থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ এবং পরে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন রেশমী, যা স্থানীয়রা ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, রেশমী আক্তার থানায় এসে নিজেকে জাতীয় পার্টির নেত্রী পরিচয় দেন, পরে জানা যায় তিনি আওয়ামী লীগের নেত্রী।
অন্যদিকে রেশমী আক্তার দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তারা দ্রুত রেশমীর গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন।