আজ (১৮ মে) শেষ হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ। তবে এখন পর্যন্ত দুই দেশের পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি।
যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই শিগগিরই বৈঠকে বসতে পারেন দিল্লি ও ইসলামাবাদের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালকরা। তবে বৈঠকের তারিখ ও স্থান এখনো নির্ধারিত হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ৭ মে পাকিস্তান ভূখণ্ডে ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালায় ভারত। জবাবে পাকিস্তান শুরু করে ‘অপারেশন বেনিয়ান-উন-মারসুস’। চারদিনের এই সঙ্ঘাতের পর ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা হ্রাসে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সম্প্রতি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি টেকসই করতে এবং দুই দেশের মধ্যে সংলাপের পরিবেশ তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে যুক্তরাজ্য।
অন্যদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত শুক্রবার বলেন, “অপারেশন সিন্দুর এখনো শেষ হয়নি।” পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পাল্টা মন্তব্যে বলেন, “আমরা শান্তি চাই, তবে শত্রুদের শিক্ষা দিয়েছি। আমরা চাই এই অঞ্চল শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাক।”
যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষ হলেও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা, অনিশ্চয়তা এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চলমান রয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের নজর এখন দিল্লি ও ইসলামাবাদের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে।