টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল সরবরাহ করার সময় শাজাহান সিরাজ কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মৃদুল হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাকে পুলিশ পিকআপ ভ্যানের চালকের আসনের পাশের সিটে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। এই ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে দেখছেন সমালোচকরা। তাদের প্রশ্ন- আটককৃত অন্যান্য অপরাধীরাও পুলিশের কাছে এই সম্মান পাবে কি? আটক মৃদুল হাসান ওই কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আটককৃত অপরাধীকে হাতকড়া না পড়িয়েই পরীক্ষার হল থেকে বের করা হয়। সেসময় আটককৃত দৌঁড়ে পালিয়েও যেতে পারতেন। পরে তাকে পুলিশ ভ্যানের সামনে চালকের পাশের সিটে, যেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বসেন, সেখানে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ পিকআপ ভ্যানের সামনে বসানোর ফলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুর রহমানকে পিছনের সিটে বসে যেতে হয়েছে।
এদিকে পুলিশ ওই নেতাকে ভিআইপিভাবে গাড়ির সামনের আসনে নিয়ে আসায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কালিহাতী শাহজাহান সিরাজ কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক।
ঘটনাটি জানাজানি হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশ এখনো ভালো হয় নাই। তারা হতাশার সুরে বলেন, বাংলাদেশের পুলিশের নৈতিক পরিবর্তন আর হবে না। তারা প্রশ্ন করেন, অন্যান্য আটককৃত অপরাধীরা পুলিশের কাছে একই সম্মান পায় কিনা, ভবিষ্যতে পাবে কিনা?
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক জানান, আটকের পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে বলা হয়েছে।
আটককৃত ব্যক্তিকে পুলিশ ভ্যানের চালকের আসনের পাশের সিটে বসিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কালিহাতী থানার ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, নকলের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নাগরিক হিসেবে চালকের পাশের সিটে বসিয়ে সেবা দিতেই পারি। এতে আমার যদি হেডেক না থাকে, তাহলে আপনার হেডেক কেন হবে? অন্য আসামীদের ক্ষেত্রে কি এমন সেবা দেয়া হয়, প্রশ্ন করতেই ফোন কেটে দেন তিনি। ফোন কেটে দেয়ার সময় তিনি সাংবাদিকে বলেন, ভালো কাজ করেন, সমাজে ভালো করেন, মানুষ সবাই ভালো বলবে ভাই।