সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। নতুন অধ্যাদেশে সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন বা কর্মবিরতিতে অংশ নিলে বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি কিংবা বরখাস্তের মতো কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
নতুন সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি নিজে কাজ বন্ধ রাখেন বা অন্য কর্মচারীকে কাজে বাধা দেন, তবে তা ‘সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হবে। এর শাস্তি হিসেবে পদাবনতি, বাধ্যতামূলক অবসর কিংবা চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ধারা ৩৭(ক) এ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেন বা অন্যকে প্ররোচিত করেন, তবে তার বিরুদ্ধেও একই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে।
অভিযোগ গঠনের পর সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর সুযোগ পাবেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা। তবে রাষ্ট্রপতির প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং এর বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রিভিউ আবেদন করতে পারবেন।
সংসদ ভেঙে যাওয়ায় এবং জরুরি প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই অধ্যাদেশ জারি করেছেন। অধ্যাদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।