বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২ মে) এই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
গত ১৬ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেছিলেন। ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের রায়ই বহাল রাখেন আদালত।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে বর্বর নির্যাতনের শিকার হন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ। পরদিন ভোরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে বুয়েটেরই একদল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী দীর্ঘ সময় ধরে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
ঘটনার পরদিন চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জন বুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় ঘোষণা করেন। বিচারিক রায়ে বলা হয়েছিল, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা অভিযোগ তুলে নিষ্ঠুরভাবে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন:
মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন:
মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।
উল্লেখযোগ্যভাবে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। এখনও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।