স্থানীয় ষাটোর্ধ বৃদ্ধ আব্দুল্লাহ জানান, পাগলীটাকে এর আগে দেখি নাই। ৪/৫ দিন ধরে রোয়ালী হাটবাড়ি বাজারে ঘোরাঘুরি করতে দেখি। শনিবার দিবাগত রাত ৮টায় ওই যুবতী প্রসব ব্যথায় ছটফট করলে বিষয়টি আচ করতে পেরে ওই গ্রামের দাই সাজাহানের স্ত্রী মধ্য বয়সী নারী সাজেদাকে ডেকে আনা হয়। ওই নারী শান্তিপূর্ণ প্রসব করান।
বোয়ালী হাটবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় জন্ম হয় এক ছেলে শিশু। সাজেদা সারারাত পাহাড়ায় তার পাশে থাকেন।
পরে ওই বৃদ্ধ ইসলাম ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে তার নামের সাথে মিল রেখে শিশুটির নাম রাখেন আব্দুল্লাহ।
সকাল বেলায় খবর পেয়ে স্থানীয়রাসহ ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মিয়া ও সমাজবাসী এগিয়ে আসে। পাগলীকে মহানুবতা দিয়ে তাকে নিরাপদ রাখার জন্য ওই স্কুলের একটি কক্ষে আশ্রয় করিয়ে দিয়ে খাবার দাবার দিয়ে সুস্থ করে তোলে।
খবর পেয়ে সাংবাদিকরাও ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ওই পাগলীর পরিচয় কি? এ শিশুর পিতৃ পরিচয় কি? তা বলতে পারেনি কেউ। ওই নারী মানসিক বিকারগ্রস্ত হলেও তার ভাষা অনেকটাই কুমিল্লা বা চাঁদপুরের ভাষার মতো। সাংবাদিকরা তার ঠিকানা জানার চেষ্টা করলে তার গ্রাম কয়ারগাছী, কোটচাঁদপুর উপজেলা ও নাম ছালমা ও রেজাউল, সেলিনা এ নামগুলো বলছে।
আব্দুল্লাহ’র বাবা কে? এ প্রশ্নই এখন ঘোরপাক খাচ্ছে ঘাটাইলের সংগ্রামপুর ইউনিয়নের বোয়ালীহাটবাড়ি এলাকায়। কিন্তু পরিচয়হীন এ অসহায় পাগলীর প্রসব কালে স্থানীয়রা মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি শোনার পর শিশুটির জন্য শিশু খাদ্য নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পাগলীকে এলাকাবাসীর হেফাজতে দিয়ে এসেছি।