নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ফ্যাসিবাদ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পালিয়ে গেছে। আজকে আমরা একটা আশার আলো দেখতে পেয়েছি। আমরা নতুন করে বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো।
এ জন্য সবাইকে অনেক বেশি আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ তৈরি করার জন্য আমরা সবাই যেন কাজ করতে পারি। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মাহফুজ উল্লাহকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে ফখরুল বলেন, আমি তার কাছে অত্যন্ত ঋণী। সবসময় তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। আমার ভুলটা দেখিয়ে দিতেন, আমাকে সামনে পথ দেখাতেন। এই জিনিসগুলো পাওয়ার আর আমার লোক নেই। মাহফুজ উল্লাহকে আমি ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ মিস করি।
তাকে হারানোটা আমাদের জন্য বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। তিন বলেন, যতদিন বেঁচে ছিলেন আমার সব কাজের সহযোগিতা-সাহায্য করতেন। আমার খুব কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। আমি খুব খুশি হয়েছি মাহফুজ উল্লাহ অন্তত মরণোত্তর সংবর্ধনাটা পেল। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন গুণী, মেধাবী ও দেশপ্রেমিক ছিলেন।
মাহফুজ উল্লাহ তার বড় ভাইয়ের মতোই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। সেই সময় তারা বোর্ডের স্ট্যান্ড করেছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে ও ১৮ নির্বাচনের আগে এই সময়ে তিনি অনেক কাজ করেছেন। তখন সমস্ত দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য একটা অসাধারণ প্রচেষ্টা ছিল। সেই প্রচেষ্টা ছিল বলেই বাম-ডান মিলে একটা জায়গায় আসার সম্ভব ছিল। তিনি একেবারেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন। এবং সেই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন।
স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রয়াত মাহফুজ উল্লাহর বড় ভাই মাহবুব উল্লাহ, বিএনপি কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। এ সময় মাহফুজ উল্লাহর স্ত্রী ও তিন সন্তান উপস্থিত ছিলেন।