নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ২৫ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তাঁরা ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে গতকাল বুধবার সকালে আশুলিয়ায় আটক হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ঘাটাইল থানার একটি পুরোনো নাশকতার মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন – নিজ আসনের দলীয় অখন্ডতা ধরে রাখতে পারেন নি কৃষিমন্ত্রী
আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ওই ২৫ জনের সবাই ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ও দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মী বলে স্থানীয় বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন।
বাস সকাল সাতটার দিকে আশুলিয়ায় পৌঁছালে পুলিশ থামিয়ে তল্লাশি করে। পরে পুলিশ বাসসহ সবাইকে আশুলিয়া থানায় নিয়ে যায়।
ঘাটাইল পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন জানান, ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য আটটি মিনিবাস নিয়ে বুধবার ভোরে তাঁরা ঘাটাইল থেকে রওনা হন।
তাঁদের সাতটি বাস ঢাকায় চলে যায়। একটি বাস সকাল সাতটার দিকে আশুলিয়ায় পৌঁছালে পুলিশ থামিয়ে তল্লাশি করে।
গাড়িতে থাকা নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হন, তাঁরা মহাসমাবেশে যাচ্ছেন।
পরে পুলিশ বাসসহ সবাইকে আশুলিয়া থানায় নিয়ে যায়।
বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁদের ঘাটাইল থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিএনপির নেতারা জানান, গত বছরের ২২ নভেম্বর ঘাটাইল থানার উপ-পরিদর্শক মো. বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে নাশকতার চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের উপর হামলা, প্রতিবাদে মিছিল
মামলায় ৩৫ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।
এর মধ্যে সাত নেতা-কর্মীকে ওই দিনই গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, আসামিরা ঘাটাইলের কাশতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নাশকতার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে তাঁরা পুলিশের দিকে ককটেল নিক্ষেপ করেন।
ফারুক হোসেন জানান, ওই দিন এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ‘গায়েবি’ মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।