মাগুরা সদরের নিতাই গৌর গোপাল আশ্রম থেকে পবিত্র মাহে রমজান উলপক্ষে অর্ধশতাধিক মুসলমান পরিবারের মধ্যে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার সকালে মাগুরা পৌর এলাকার নিজনান্দুয়ালী এলাকার বাসিন্দা নন্দ দুলাল দত্ত তাঁর নিজ উদ্যোগে এই ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এদিকে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আশ্রম থেকে মুসলমানদের মধ্যে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করাকে হিন্দু মুসলমানের ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধন বলে মনে করেন স্থানীয় হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। তারা জানান, বাংলাদেশে অহংকার করার মতো অনেক কিছুর মধ্যে হিন্দু মুসলমানের ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি উল্লেখযোগ্য।
নন্দ দুলাল দত্ত জানান, লকডাউনের কর্মহীন হয়ে এলাকার অনেক দরিদ্র মুসলমান খাদ্যাভাবে রয়েছেন। এই খাদ্যাভাবের মধ্যেও তারা পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখছেন। সেইসব দরিদ্র মুসলমানের কথা চিন্তা করে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে আশ্রম থেকে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
তাঁর দেয়া ইফতার ও খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি মিনিকেটস চাল, ১ কেজি ডাল, আধা লিটার তেল, আধা কেজি লবন, একটি সাবান, আধা কেজি মুড়ি, আধা কেজি ছোলা, ২ কেজি আলু ও বেগুন, আধা কেজি বেশন। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তিনি ওই এলাকার ১৪০ হিন্দু পরিবারে খাদ্যসহায়তা দেন। কিন্ত পবিত্র রমজান মাসের কথা চিন্তা করে সোমবার ৫৭ পরিবারে মধ্যে ৫৪টি মুসলমান পরিবারে ইফতার ও খাদ্যসহায়তা দেন। ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে তাকে সহায়তা করেন পিটুল দও, সনজিত দও, গোবিন্দ রুদ্র, শ্যামল সিকদার, হাসি রানী প্রমুখ।
এদিকে আশ্রম থেকে নন্দ দুলাল দত্ত মুসলমান পরিবারে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করায় একে হিন্দু মুসলমানের ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি বন্ধন হিসেবে উল্লেখ করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দা ছবেদ আলী, আজম খান, আবদুর রাজ্জাক মোল্যা, কালাম হোসেন, সৈয়দ আলী মো্ল্যা, নজির হোসেন প্রমুখ। তারা বলেন, বাংলাদেশের অহংকার করার মতো অনেক কিছুর মধ্যে হিন্দু মুসলমানের ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি উল্লেখযোগ্য। একই কথা জানান নিতাই গৌর গোপাল আশ্রমের অধ্যক্ষ বাবাজী মহারাজ চিন্ময়া নন্দ দাসও।
নন্দ দুলাল দত্তের ছেলে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানান, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকার দরিদ্র মুসলমান পরিবারের খাদ্য সহায়তা দেয়া অব্যহত থাকবে।