গাজার খান ইউনিসের ইউরোপিয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা। স্থানীয় সূত্র জানায়, একযোগে ছয়টি বোমা ফেলা হয় হাসপাতালের ভেতরে ও আশপাশে, যাতে বিস্ফোরণে তৈরি হয় বিশাল গর্ত এবং ধ্বংস হয় পার্কিংয়ে থাকা গাড়ি ও একটি বাস।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই রাতে জাবালিয়া এলাকায় আরও অন্তত চারটি আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। চিকিৎসকরা জানান, ইসরায়েল গাজায় হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে, যার ফলে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত ৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হামলার সময় ইউরোপিয়ান হাসপাতাল এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন নজরদারি চালাচ্ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এতে উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি হয়। আহত ও নিহতদের নেওয়া হয়েছে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে, যেখানে আগে একটি ড্রোন হামলায় মারা যান সুপরিচিত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক হাসান আসলিহ। তিনি সেখানে এক মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ইসরায়েল দাবি করেছে, গাজার হাসপাতালগুলোকে হামাস সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করছে, যদিও হামাস তা অস্বীকার করে আসছে। দেশটির গণমাধ্যম জানায়, ইউরোপিয়ান হাসপাতালে হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিলেন মোহাম্মদ সিনওয়ার, যিনি হামাসের সামরিক শাখার বর্তমান নেতা এবং সংগঠনের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই।
এদিকে, গাজা থেকে ছোড়া দুটি রকেট প্রতিহত করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এই রকেট হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা।