প্রিয় মানুষদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ছুটছেন মানুষ। ঘরমুখো এই মানুষরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পারে সে জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এতে কোনো রকম যানজট ও ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়াও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭মার্চ) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমসার বাজার এলাকায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, যত্রতত্র পার্কিং এবং সম্ভাব্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এতে পুরো মহাসড়ক ফাঁকা হয়ে যায়। এবার সব চালকদের নিয়ম মেনে যানবাহন চালনা করতে দেখা গেছে।
নিমসার বাজারের ব্যবসায়ী কাউছার মিয়া বলেন, প্রতি ঈদেই দেখেছি এই মহাসড়কে যানজট লেগে থাকে।
এবারই প্রথম দেখলাম যে মানুষ কোনো ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন। যানজট নিরসনে সেনাবাহিনী কিছুদিন ধরে এই মহাসড়কে কাজ করছে। এবারের ঈদে মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে। কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দিগন্ত পরিবহনের বাসচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেবিদ্বার নিউ মার্কেট ও কংশনগর বাজারের মাঝের এলাকায় মাঝে মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এছাড়া পুরো সড়কের কোথাও যানজট নেই। বাসের যাত্রীরাও স্বস্তি ভোগ করেছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দায়িত্বরত মেজর সানিউল আলম বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের যাত্রাপথে ভোগান্তি দূর করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকল বাস মালিকদের নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর অনুরোধ করছে। এছাড়া কুমিল্লা অংশের যেসব পয়েন্টে যানজট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট এবং টহলের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোসহ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঘরমুখী মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যেকোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশ, সিভিল প্রশাসনসহ সকলে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।