টাঙ্গাইল ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামছাড়া বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষ দিন দিন ভোগান্তির মুখে পড়ছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও বাজারে স্বস্তি ফেরেনি।
অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণের সুদহার বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে জোর, পেঁয়াজ ও আলু আমদানিতে শুল্ক কমানো, ডিম আমদানি, ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ, চাঁদাবাজি রোধ এবং টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বৃদ্ধিসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
কিন্তু বাস্তবে এই উদ্যোগ সত্ত্বেও বাজারে স্বস্তি কম। টাঙ্গাইলের কাঁচাবাজারের দাম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জুলাইয়ের তুলনায় অক্টোবর মাসে মোটা চাল (ব্রি-২৮ ও পাইজাম) প্রতি কেজি ১০-১১ শতাংশ, ফার্ম মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩-১৭ শতাংশ, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৯-১৬ টাকা, মাঝারি রুই মাছ প্রতি কেজিতে ৪০০-৪৫০ টাকা এবং সবজির দামও ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
সরকার ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করলেও ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে ভোক্তারা সেই সুবিধা পাচ্ছে না। ব্রয়লার মুরগির বাজারদর বর্তমানে প্রতি কেজি ১৮৫-১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে সরকার নির্ধারিত দাম যথাক্রমে ১৭৯.৫৯ ও ২৬৯.৬৪ টাকা।
ভোক্তা সংগঠন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জানিয়েছে, সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে দাম বাড়ানোর কারণে সাধারণ ভোক্তা ঠকছে। এ ছাড়াও উচ্চ মূল্যস্ফীতির পেছনে বন্যা, ডলার সংকট এবং ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রভাবও উল্লেখযোগ্য।
বাজার বিশ্লেষক ও কৃষি অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা, সরবরাহ বৃদ্ধি ও শুল্ক কমানো হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমে আসতে পারে।











