ভারতের পুনে বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে পুনে থেকে ভুবনেশ্বরগামী এই ফ্লাইটটি রানওয়েতে গতি নেওয়ার সময় একটি বড় পাখি বিমানের এক ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়, ফলে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে পাইলট জরুরি ব্রেক কষে টেকঅফ বাতিল করেন এবং ১৪০ যাত্রীর জীবন রক্ষা পান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী মোহাম্মদ নাদিম জানান, “বিমান গতি নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইঞ্জিন থেকে আগুনের শিখা দেখা যায়। পাইলট হঠাৎ ব্রেক করেন, এতে অনেক যাত্রীর মোবাইল পড়ে যায় এবং এক নারী যাত্রীর কোল থেকে শিশু পড়ে যায়।”
বিমানটি প্রায় ১৫-২০ সেকেন্ড রানওয়েতে চলার পর থেমে যায়।
পুনে বিমানবন্দরের রানওয়ে দৈর্ঘ্য ২,৫৩৫ মিটার (৮,৩১৬ ফুট)। অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ধৈর্যশীল বান্ডেকর জানিয়েছেন, উড্ডয়নের সময় সাধারণত একটি বিমানের সর্বোচ্চ গতি হয় ২৫০-৩০০ কিমি/ঘণ্টা।
তিনি আরও বলেন, একটি উড্ডয়নের সময় তিনটি গতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
V1 (Decision Speed): সর্বোচ্চ গতি, যার আগে পাইলট নিরাপদে টেকঅফ বাতিল করতে পারেন।
VR (Rotation Speed)
V2 (Takeoff Safety Speed)
এই গতি নির্ধারিত হয় বিমানের ওজন ও আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে।
ঘটনার পর প্রথম ৫-১০ মিনিট কোনো ঘোষণা না আসলেও পরে পাইলট PA (Public Address) সিস্টেমে জানান যে, একটি ইঞ্জিন গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিমানটি আর উড়তে পারবে না। পরবর্তীতে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে টার্মিনালে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও একই বিমানবন্দরে বার্ড হিটের ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে দিল্লি-পুনে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটেও ল্যান্ডিংয়ের পর বার্ড হিট ধরা পড়েছিল। জুন মাসে ভুবনেশ্বর থেকে আসা আরেকটি ফ্লাইট রানওয়েতে কুকুর দেখে ‘গো-অ্যারাউন্ড’ করতে বাধ্য হয়েছিল।