ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর। রাজধানীর আদাবর থানার গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে হাজির করা হয়। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তিনি দম্ভ করে বলেন, এই ফটো তোলোস কেন? আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে তিনি এ কথা বলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর আদাবর থানার গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় শাহজাহান ওমর ছাড়াও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়।
সোয়া ৯টার পর তাদের এজলাসে তোলা হয়। তিনজনের মধ্যে সামনে ছিলেন শাহজাহান ওমর। ওই সময় সাংবাদিকরা তাদের ছবি তুলতে চান। তখন শাহজাহান ওমর বলেন, ‘এই ফটো তোলোস কেন? পরে তাদের আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। সেখানে শাহজাহান ওমর আইনজীবী-পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলতে গিয়ে হাসি দেন। তিনি আইনজীবীদের কাছে মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। জানতে চান তিনি এজাহারনামীয় আসামি কি না।
তবে কাঠগড়ায় তোলার পর নিশ্চুপ ছিলেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আছাদুজ্জামান মিয়া। পরে আছাদুজ্জামান মিয়া আইনজীবীর সঙ্গে একটু কথা বললেও অনেকটায় নিরব ছিলেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এরপর আইনজীবীর সঙ্গে কিছু সময় কথা বলেন তারা দুইজন। সকাল ৯টা ৩৮ মিনিটের দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
শুনানি শেষে ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের আদালত থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তখন ছবি তোলার বিষয়ে কি বলেছিলেন জানতে চাইলে হাস্যোজ্জল শাহজাহান ওমর বলেন, আরে বাবা, তোমাদের কাজই হলো ফটো তোলা। ফটো তোলো। আমাদের আপত্তি নাই।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর রাজাপুর থানায় গাড়ি ভাঙচুরের মামলা করতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার হন। ওইদিন দুপুরে তাকে ঝালকাঠি কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।