নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি মোটরসাইকেলের জন্য এক কিশোরকে হত্যা দুস্কৃতিকারীরা।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটে।
এটি ছিলো একদম সূত্রহীন একটি হত্যা হত্যাকাণ্ড।
মাত্র চারদিনে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে।
এ বিষয়ে আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে জেলা পুলিশের পক্ষ হতে একটি প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে লাইসেন্স না থাকায় ২টি ক্লিনিক সিলগালা
প্রেস ব্রিফিং হতে জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারী ঘাটাইল উপজেলার বীর ঘাটাইল মেইন রোড সংলগ্ন মনির ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপে কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা নাহিদে (১৬) হত্যা করে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে থানায় একটি মামলা রজ্জু করা হয়।
হত্যাকাণ্ডটি ক্লু-লেস, লোমহর্ষক ও চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলা পুলিশ রহস্য উদঘাটনের জন্য জেলার চৌকস পুলিশ টিম ও ঘাটাইর থানাকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
অবশেষে জেলা ও থানা পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের জালে ধরা পরে আসামিরা।
আসামিরা হলেন, উপজেলার কামার চালা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. সোহাগ (১৫), সোহাগের মা মোছাঃ খাদিজা (৩৩), নিয়ামতপুর গ্রামের মোঃ নাজিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ নাজমুল (২০), নলমা গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী সালমান জাহান জান্নাত (২১) ও জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার তরুনীআটা গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে সাব্বির তালুকদার (১৭)।
যে মোটরসাইকেলটির জন্য এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সেই মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয় জামালপুরের সরিষাবাড়ির তরুনীআটা গ্রাম থেকে।
আসামীরা হত্যাকাণ্ড ও মোটরসাইকেল লুণ্ঠনের বিষয় স্বীকারোক্তিমূলক প্রদান করেছেন।
এ সময় জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন (ক্রাইম) জানান, আসামীগণ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকা ও মোটরসাইকেল লুণ্ঠনের বিষয়ে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে।
আরো পড়ুন – কালিহাতী প্রেসক্লাবে সভাপতি পন্ডিত, সম্পাদক মিল্টন নির্বাচিত
নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এসময় জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতা এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।