বিশেষ প্রতিবেদক : একুশে পদক গ্রহণ করেছেন টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান ফজলুর রহমান খান ফারুক।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ সন্মান “একুশে পদক” প্রদানের মাধ্যমে সন্মানিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালের একুশে পদক পেয়েছেন ২১ বিশিষ্ট নাগরিক।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বিশিষ্ট নাগরিকদের হাতে একুশে পদক তুলে দেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ এ সহচরের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে।
১৯৪৪ সালের ১২ অক্টোবর ওই গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। বাবা প্রয়াত আব্দুল হালিম খান ও মা প্রয়াত ইয়াকুতুন্নেছা খানমের আট সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়।
তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতাও করেছেন।
৬২ সাল থেকে ৬৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ও টাঙ্গাইল মহকুমা প্রেসক্লাব এবং টাঙ্গাইল মহকুমা মফস্বল সংবাদদাতা সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে তার সম্পাদনায় টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত হচ্ছে আজকের দেশবাসী নামে একটি দৈনিক পত্রিকা।
ফজলুর রহমান খান ফারুক টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সদস্য ও মির্জাপুর প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য।
এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক এই বর্ষিয়ান নেতা টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
এর পাশাপাশি এখনও দিনের বেশির ভাগ সময় আওয়ামী রাজনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন।
বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদের ঘনিষ্ট সহচর, ত্যাগী ও মহিয়সী সহধর্মিনী সুরাইয়া খানম গত বছর ২৪ আগস্ট (সোমবার) ইন্তেকাল করেছেন।
যার ত্যাগ ও প্রেরণায় ফজলুর রহমান খান ফারুক রাজনৈতিক জীবনে সফলতা অর্জন করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার