বাংলাদেশে প্রতি বছর তামাকজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে জাতির জন্য বড় হুমকি আখ্যা দিয়ে সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শন, পাবলিক প্লেসে ধূমপান এবং বিড়ি-সিগারেটের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধসহ দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ২৪ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত এক সেমিনারে এই দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পুরনো হওয়ায় তা এখনকার বাস্তবতায় কার্যকরভাবে তামাকজাত পণ্যের বিস্তার ঠেকাতে পারছে না।
সেমিনারে বক্তারা যে দাবিগুলো উত্থাপন করেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শন ও বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, ভেপ/ই-সিগারেটের মতো নতুন পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করা, পাবলিক প্লেসে স্মোকিং জোন বাতিল করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ করা এবং তামাক মোড়কে সচিত্র সতর্কবার্তা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো।
সেমিনারের আগে অংশগ্রহণকারীরা প্রতীকী পদযাত্রা ও স্বাক্ষর অভিযানও পরিচালনা করেন, যা সরকারের প্রতি আইন সংশোধনের দাবিতে পাঠানো হবে।
আয়োজকদের মতে, দেশের তরুণ সমাজকে সচেতন করে এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করাই ছিল সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য।