হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের উপদেষ্টা ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মাদের পা ধুয়ে দিচ্ছে বাচ্চারা। এটি একটি অনন্য উদাহরণ, মায়েদের প্রতি শিশুদের যে শ্রদ্ধা ভালোবাসা প্রমাণ করার জন্যই এই দিবসকে স্কুলের আয়োজন নিশ্চয় ভালো উদ্যোগ। এসময় তিনি আরো বলেন, এই অনুষ্ঠান মা-বাবা’র প্রতি শিশুদের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুল আয়োজিত মায়ের পা ভালোবাসা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
টাঙ্গাইল শহরের এসপি পার্কে ৪র্থ বারের মতো ১৪ ফেব্রুয়ারি মায়ের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোর ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সন্তানের এমন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়ে আবেগে আপ্লুত মায়েরা আর শিশুরা হয়েছে আনন্দিত। অনুষ্ঠানে দেড় শতাধিক মা’দের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
ভালবাসা দিবস শুধু তরুন-তরুনীর যুগল প্রেম নয়। এর বাইরেও কিছু হতে পারে সেরকম ব্যতিক্রমী চিন্তা থেকেই বিগত চার বছর যাবৎ এভাবে দিনটি পালন করছে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী।
অংশগ্রহণকারী অভিবাবকরা বলেন, এরকম অনুষ্ঠান একটি সন্তানের মানসিক পরিবর্তন ও গঠনে সঠিক ভুমিকা রাখবে এবং বড় হয়ে তারা জানবে ভালোবাসা দিবস শুধু বন্ধু বান্ধব, প্রেমিক-প্রেমিকার জন্যই নয়। এই দিনে বাবা মাকে সময় দিতে হবে। তাদের প্রতি ভালোবাসা নিবেদন করতে হবে। আর এই অনুষ্ঠান থেকে নতুন প্রজন্মের শিশুরা তাদের পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য ও শ্রদ্ধা করতে শিখবে।
উদ্যোক্তা হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী বলেন, বর্তমান সময়ে দেখা যায় সন্তানদের অবহেলায় বৃদ্ধ বাবা-মা কে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হয়। যা খুবই বেদনাদায়ক। আমরা মনে করি ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা পাওয়ার প্রথম ভাগিদার বাবা-মা। যদিও তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের কোন বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। তারপরও বিশেষ এই দিনে শিশুদের মনে বাবা-মায়ের প্রতি অটুট ভালোবাসা এনে দিতেই ১৪ ফেব্রুয়ারি ৪র্থ বারের মতো থাকছে মা’দের নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে আমাদের আয়োজন। শিশুকে যদি বলেন ভালোবাসি, শিশু বলবে ভালোবাসি; কারণ শিশু অনুকরণ অনুসরণ করতে পছন্দ করে। মূলত নৈতিক শিক্ষায় শিশুদের গড়ে তুলতেই আমাদের এই আয়োজন।