টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আওয়ামী যুবলীগের নির্বাচনী পথসভায় হামলার শিকার হয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জহিরুল হক জাকির।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কালিহাতী পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় অংশ নিতে এসে হামলার শিকার হন তিনি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই নিন্দা জানিয়েছেন।
জানা যায়, কালিহাতী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুরুন্নবী সরকারের পক্ষে শহীদ শফি সিদ্দিকী চত্ত্বরে স্থানীয় যুবলীগ এক পথসভার আয়োজন করে।
সভায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি দল ওই পথসভায় অংশগ্রহণ করে।
ওই দলের সদস্য জহিরুল হক জাকির বক্তব্য শেষে পানি কেনার জন্য পাশের একটি দোকানে যান।
সেখানে অজ্ঞাত ৪-৫ ব্যক্তি লাকড়ি ও লাঠি নিয়ে তার উপর হামলা চালায়।
তিনি দৌঁড়ে মঞ্চে পৌঁছলে হামলাকারীরা চলে যায়।
ঘটনার আকষ্মিকতায় নেতৃবৃন্দসহ উপস্থিত সকলেই বিষ্মিত হয়ে পড়েন।
ঘটনার পরেই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সভা শেষ করে ঢাকায় চলে যান।
বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা- সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।
হামলার শিকার কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য জহিরুল হক জাকির অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় এমপি হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারির মদদপুষ্ট আজিজুল, মিনহাজ ও রানার নেতৃত্বে ৪-৫ জন আমার উপর হামলা করে।
আমার বাড়িও কালিহাতী উপজেলার পারখী ইউনিয়নের মাইজবাড়ী গ্রামে। রাজনৈতিক মতানৈক্যের কারণে এ হামলা চালিয়েছে এমপি।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিক বলেন, স্থানীয় কোন্দল বা দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক ও নিন্দনীয়।
যেহেতু কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন তাই তাদের পরামর্শেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কালিহাতী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নুরুন্নবী সরকার বলেন, পথসভায় বক্তব্য রেখে আমি অন্যত্র গণসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। হামলার বিষয়ে আমি পুরোপুরি অবগত নই।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি।
অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার