নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যেভাবে চিবিয়ে কথা বলেন, দেশের মানুষ তা পছন্দ করে না। তার খেলা হবে তা পছন্দ করে না।
দেশের মানুষ খেলা হওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করে নাই।
দেশের মানুষ শান্তিতে থাকার জন্যে, নিরাপদে থাকার জন্যে, সম্মানে থাকার জন্য দেশ স্বাধীন করেছে।
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি জানিনা, ওবায়দুল কাদেরকে আপনি ঝেটিয়ে বিদায় করবেন কিনা, আমি জানি না; কিন্তু দেশের মানুষ চায়, এক মূহুর্তও যাতে ওবায়দুল কাদের আর দ্বিতীয় এইভাবে মানুষের সামনে চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলতে না আসে।
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যেভাবে চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলেন, আমি আজি বলবো তাকে ঝেটিয়ে বিদায় করেন।
দেশের কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে গত ২০ জুলাই (শনিবার) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য ওবায়দুল কাদেরকে দায়ী করে বঙ্গবীর বলেন, ওবায়দুল কাদের না থাকলে এই রকম অরাজকতা হতো না।
আইনমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে যা বললেন বঙ্গবীর –
সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবীর আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আইনমন্ত্রীর প্রতি কারো আস্থা নাই।
আইনমন্ত্রী উপযুক্ত না; আস্থাবান মানুষকে দায়িত্ব দিন।
সেদিন আইনমন্ত্রী যখন বলেছেন, তোমরা আমার সন্তানের মতো, আমার মনে হয় না তাকে একজনও বলবে বাবার মতো, চাচার মতো।
বাবার মতো চাচার মতো হওয়ার জন্য ভাবমূর্তির দরকার; কথাবার্তার দরকার, মানুষের প্রতি ভালোবাসার দরকার।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, নেত্রীকে বলবো, বোনকে বলবো যে, আপনি এখনি এদেরকে বদলিয়ে উপযুক্ত মানুষকে দিন, যারা কোটা বিরোধী বা কোটা সংস্কারের পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি ন্যায় সংগত সমাধান আনতে পারে।
মুক্তিযোদ্ধারা কোটা চায় না, সম্মান চায়। এই সম্মান কি আপনারা দিয়েছেন?
সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতি যে সম্মান দেখেছি, যে দরদ দেখেছি; কাজে তো সেটা দেখা যায় না।
এসময় তিনি বলেন, নিশ্চয় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি সম্মান রাখার জন্য যতটুকু দরকার কোটা রাখুন।
কোটা রাখুন যারা প্রতিবন্ধী, তাদের জন্য; কোটা রাখুন অনগ্রসর যারা, তাদের জন্য। মুক্তিযোদ্ধার জন্য রাখুন প্রতীক হিসেবে, সম্মান হিসেবে।
এসময় তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অনুরোধ করে বলেন, তোমরা শান্ত হও।
তোমাদেরকে অবলম্বন করে যেন দেশে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে। আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপি নিয়ে গেছে, জামাত নিয়ে গেছে। আন্দোলন সবাই নেবার সৃষ্টি করবে এটাই তাদের অধিকার।
বিরোধী দলে যারা আছে, তারা সবসময় বিরোধ করার চেষ্টা করবে এটাই তাদের অধিকার।
এসময় তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবিতে যখন ঢিল পরে, আমি মনে করি আমার বুকের মধ্যে ফালা দিয়ে ঘা দেয়া হয়।
এই অবস্থার সৃষ্টি কারা করলেন? আজকের অযোগ্য আওয়ামী লীগেরা।
সেজন্য বলবো, একে (ওবায়দুল কাদের) সরান। আমি ওই জায়গায় হলে কাল রাত্রেই সরিয়ে দিতাম।
এসময় তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, শেখ হাসিনা পালাবার পাত্রী না বা পাত্র না, শেখ হাসিনা পালায় না। এই কথা ওবায়দুল কাদেরকে কে বলতে বলেছে?
মাচার তলায় কে গো? গুড় খাই না।
কেউ বলেছে শেখ হাসিনা পালাচ্ছে?
ওবায়দুল কাদের বললেন, শেখ হাসিনা পালাবার মানুষ না। এসময় তিনি স্পেনের নির্ধারিত সফর বাতিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন।
আরো যারা ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে –
সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবীর আবদুল কাদের বীর উত্তমের সাথে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, কালিহাতী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকীসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এই সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।