নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজ ভাঙার জেরে বাড়িঘর ভাংচুরসহ নারী-পুরুষের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বাসারচর গ্রামে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এতে নারী পুরুষসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত ৬ জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহতরা হলেন-আলম,শুকুর মাহমুদ, শাহজালাল, সোহেল, আসাদ বাবু, আশিক।
রাতে হামলায় আহত শুকুর মাহমুদের ভাই বাসারচর গ্রামের মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাইমাইল গ্রামের বখাটে শিপন মিয়ার নেতৃত্বে শাহিন, লিটনসহ শহরের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটনানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্ত শিপন বাইমাইল গ্রামের মৃত. হালিম মিয়ার ছেলে।
নানা অপরাধে ইতোমধ্যে অভিযুক্ত শিপন চার বার কারাভোগ করেছেন।
তার বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করাসহ মাদক সেবনের অভিযোগ।
হামলায় জড়িত শাহিন আজিবর মিয়ার ছেলে ও লিটন মহর আলী ছেলে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের তথ্যে জানা যায়, ২৮১টি ঘর নিয়ে বাইমাইল সমাজ আর বাসারচর সমাজে রয়েছে ৯৪টি ঘর।
সমাজ দুটি হলেও বাইমাইল কবরস্থানে দুই সমাজের মৃত মানুষদের কবর দেয়া হত।
সম্প্রতি কবর দেয়া নিয়ে আপত্তি তোলেন বাইমাল সমাজের লোকজন।
এ কারণে বাসারচর সমাজের মানুষ ১৭ লাখ টাকায় কবরস্থানের জন্য একটি জমি কিনেন।
কবরস্থানের জমি কেনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয় বাইমাইল এলাকার লোকজন।
এর জের ধরেই আজ বাইমাইল গ্রামের বখাটে শিপন মিয়ার নেতৃত্বে শাহিন, লিটনসহ শহরের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটায়।
হামলায় ৭/৮ বাড়ি ঘর ভাংচুর ও আহত হন নারীসহ অন্তত ১০ জন।
আহত শুকুর মাহমুদের ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, বাসারচর গ্রামে কবরস্থান নির্মাণ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে।
বাইমাইল গ্রামের বখাটে শিপন মিয়ার নেতৃত্বে শাহিন, লিটনসহ শহরের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
হামলাকারী হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা নিতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য :
দাইন্যা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শহীদ সরকার বলেন, হামলা ও ভাংচুরের খবর পেয়েছি।
বাসারচর সমাজের মানুষদের নতুন কবরস্থান নির্মাণ করা নিয়ে হামলার এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছেন তিনি।
দাইন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বলেন, হামলার সংবাদ পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেছি।
কোন বাহিনী নিয়ে আমি রাজনীতি করিনা বলেও জানান তিনি।
পুলিশের বক্তব্য :
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান জানান, ভাংচুর ও হামলার অভিযোগ পেয়েছি।
হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। সম্পাদনা – অলক কুমার