টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা করটিয়া হাট ও বাজারের মোড়ে মোড়ে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। ল্যাম্পপোস্টের বিচ্ছুরিত আলোর ঝিলিক স্থানীয়দের মাঝে উৎফুল্লের সৃষ্টি করেছে।
জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৪০ টাকা ব্যয়ে করটিয়া ইউনিয়নে ১২টি সোলার প্যানেল বরাদ্দ দেয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোলার প্যানেলগুলো ঐতিহ্যবাহী করটিয়া হাট ও বাজারে স্থাপন করেন। এতে করটিয়া হাট ও বাজারের প্রতিটি অলি-গলি আলোকিত হয়ে ওঠে। সোলার প্যানেলের ল্যাম্পপোস্টের আলোর ঝিলিকে সাধারণ মানুষ উল্লাস প্রকাশ করেছে।
মাদারজানী এলাকার আব্দুল মান্নান ড্রাইভার বলেন, মাদারজানী মোড়টা ঐতিহ্যবাহী করটিয়া হাট সংলগ্ন হওয়ায় এর ব্যবসায়ীদের কাছে গুরত্ব অনেক বেশি। প্রতি সপ্তার মঙ্গলবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কাপড়ের ব্যবসায়ীরা করটিয়া হাটে আসেন। আগে হাটের অনেক জায়গা আলো-আঁধারে নিমজ্জিত ছিল। সোলার প্যানেল স্থাপন করায় হাট-বাজারের প্রতিটি গলিই এখন আলো ঝলমলে।
করটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এমদাদুল হক এনামুল বলেন, করটিয়া ইউনিয়ন একটি বাণিজ্যিক এলাকা। এখানে দূর-দূরান্ত থেকে কাপড়ের ব্যবসায়ীরা এসে চলাফেরা করে থাকেন। ব্যবসায়ীদের নির্বিঘ্নে চলাফেরার সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সোলার প্যানেলের ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বী জানান, বিদ্যুত না থাকলে করটিয়া বড় জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়তে যেতে অনেক সময় আলো-ছায়ায় সমস্যা হত। মোড়ে মোড়ে সোলার প্যানেল ল্যাম্পপোস্ট দেওয়ায় পুরো এলাকা আলোকিত হয়েছে। এখন আর কেউ অন্ধকারে ‘বিষম’ খাবেনা।
কয়েক ব্যবসায়ী জানান, করটিয়ার মোড়ে মোড়ে ল্যাম্পপোস্ট লাগানোর কারণে চুরির ঘটনাও অনেকাংশে কমে যাবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম শফি জানান, তাকে চারটি সোলার ল্যাম্পপোস্ট দেওয়া হয়েছিল। তিনি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ চারটি মোড়ে ল্যাম্পপোস্ট লাগিয়েছেন। তার এলাকায় আরো মোড় রয়েছে- যেখানে ল্যাম্পপোস্টের প্রয়োজন।
করটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, ইউনিয়নের গুরত্বপূর্ণ ১২টি মোড়ে সোলার প্যানেলের ল্যাম্পপোস্ট লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি মোড়ে ল্যাম্পপোস্ট লাগানো হবে।