রান্নাঘরের পরিচিত সবজি করলা স্বাদে তেঁতো হলেও পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। তবে করলার ভেতরের বীজ খাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, করলার বীজ কি নিরাপদ এবং এতে কী ধরনের ঝুঁকি থাকতে পারে।
করলার বীজে থাকে মোমরডিসিন ও লেকটিন নামক উপাদান, যা বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে বিষক্রিয়ার মতো প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে হঠাৎ পেট ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, মাথা ঘোরা এবং দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে। মাঝে মাঝে চোখ হলুদ হয়ে যেতে পারে এবং মূত্রের রঙও পরিবর্তিত হতে পারে।
গর্ভবতী নারী ও শিশুদের জন্য করলার বীজ গর্ভবতী নারীরা করলার বীজ এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি জরায়ু সংকোচন ঘটাতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। শিশুদের জন্যও বীজ খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ; এতে তীব্র বমি বা পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
করলার বীজ ও রক্তে শর্করা করলার বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীরা যদি ওষুধের সঙ্গে একসঙ্গে বীজ খান, হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। যদিও করলার তরকারিতে ২–৪টি বীজ খেলে সাধারণত কোনো সমস্যা হয় না, কাঁচা বা আধা-পাকা বীজ বেশি খাওয়া বিপজ্জনক।
করলার বীজ ছাড়া করলা খাওয়ার উপায় রান্নার আগে করলার শক্ত বীজ ফেলে দিলে সমস্যা এড়ানো সম্ভব। বীজ ছাড়া করলা খাওয়াই নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত। এতে পেটের গোলমাল, রক্তে শর্করার হঠাৎ পতন এবং অন্যান্য জটিলতা এড়ানো যায়।
সারসংক্ষেপ: করলার পুষ্টিগুণ রয়েছে, কিন্তু বীজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করলে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সচেতনভাবে বীজ ফেলে খাওয়াই নিরাপদ পন্থা।
