মেজবাহ উদ্দিন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।
করোনাভাইরাসের কবল থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত সারাবিশ্ব। বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনার প্রকোপ। ফলে সমাজের নানা স্তরের মানুষজন চিকিৎসা সেবা খাদ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে এগিয়ে আসছেন। অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন এমনই একজন। এর আগে ঢাকার দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য প্রায় দুই মাস ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করে প্রশংসিত হন। এবার ক্লাবের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্রতী হয়েছেন তিনি।
মূলত মেজবাহ উদ্দিনের একক প্রচেষ্টায় অফিসার্স ক্লাব ঢাকার সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের বুথ বসেছে অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় প্রতিদিন এখান থেকে ৩০ জনের স্যাম্পল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। আর ফলাফল মিলছে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই। শুধু তাই নয় ক্লাব সদস্য ও তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য পরামর্শে ৬৮ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কাজ করছেন। সদস্যরা এই ডাক্তারদের কাছ থেকে সহজেই টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
এসব উদ্যোগ প্রসঙ্গে মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘ক্লাবের সদস্যরা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। কোভিড ১৯ মহাদুর্যোগের সময় সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমার একান্ত দায়িত্ব। করোনাকালের শুরু থেকেই আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি তাদের পাশে থাকার।
শুধু তাই নয়, ক্লাবের অসহায় দুস্থ কর্মচারীদের সহায়তার জন্য একটি বিশেষ কল্যাণ তহবিল গঠন করেছেন মেজবাহ উদ্দিন। এই কল্যাণ তহবিলে যে কেউই অনুদান দিতে পারবে। আর সেই টাকা ব্যয় হবে ক্লাবের দুস্থ কর্মচারীদের সাহায্যার্থে। এর বাইরে ক্লাবের সদস্য কিংবা তার পরিবারের কারো কোভিড ১৯ আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা আক্রান্ত হলে নিজে উদ্যোগী হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ঐকান্তিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মেজবাহ উদ্দিন।
উল্লেখ্য জনহিতকর কাজ ও সবার সঙ্গে মিশে যাওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতার কারণে মেজবাহ উদ্দিন সবার কাছেই তুমুল জনপ্রিয়। তিনি গত জানুয়ারির শেষ দিকে সরকারী কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী সর্ববৃহৎ সংগঠন অফিসার্স ক্লাব ঢাকার নির্বাচনে বিপুল ভোটে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে জনসেবামূলক কাজ, সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষকতাসহ নানা ক্ষেত্রে জড়িত থাকায় সবার সঙ্গেই তার হৃদ্যতা। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।
বিসিএস ১১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাবেক পিএস, খুলনার জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম এর জেলা প্রশাসক হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ডিসি হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে পুরস্কৃত হন। মেজবাহ উদ্দিন কর্মক্ষেত্রে উনার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সততা ও নিষ্ঠার জন্য প্রশংসিত হয়ে আসছেন। কর্মক্ষেত্রে সততা এবং দক্ষতার জন্য একাধিকবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে পেয়েছেন নানা স্বীকৃতি।