টাঙ্গাইলে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) শিল্প নগরীর মেসার্স বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাসেস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের জরুরি চিকিৎসায় ব্যবহৃত মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদন করছে। রোববার (১২ এপ্রিল) টাঙ্গাইল বিসিক শিল্প নগরী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেশের চারটি মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটি অন্যতম বলে দাবি টাঙ্গাইল বিসিক শিল্প নগরী এই কর্মকর্তার।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টাঙ্গাইলের তারটিয়ায় অবস্থিত এ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদনকারী চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় জরুরি প্রয়োজনে অক্সিজেন সরবরাহ করতে ওষুধ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠানটি অক্সিজেন উৎপাদন করছে।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন ৭০০ ঘনফুট অক্সিজেন উৎপাদন করছে। বিদ্যমান মজুতকৃত অক্সিজেনের সাহায্যে ৫০০ থেকে ৭০০ সিলিন্ডারে দিনে প্রায় তিন হাজার ঘনফুট অক্সিজেন সরবরাহ করতে সক্ষম বলে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাসেস লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে।
অক্সিজেন ছাড়াও এ প্রতিষ্ঠানটি শিল্প কারখানায় ব্যবহারের জন্য নাইট্রাস অক্সাইড ও অ্যাসিটিলিন উৎপাদন করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা এক কোটি ৪০ লাখ ঘন মিটার।
মেসার্স বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেন জানান, তারা ২০০০ সাল থেকে মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদন করছেন। গত ১৮ মার্চ ওষুধ প্রশাসনের নির্দেশে আগামী তিন মাস বা আরো বেশি সময় নিরবিচ্ছিন্নভাবে করোনা রোগীদের মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ফ্যাক্টরী খোলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অক্সিজেন উৎপাদন করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল বিসিক শিল্প নগরী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ফারুক জানান, করোনা ভাইরাস জনিত কারণে কোন রোগীর যেন মেডিকেল অক্সিজেনের সমস্যা না হয় সেজন্য মেসার্স বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাসেস লিমিটেড নিয়মিত অক্সিজেন উৎপাদন করছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে এক হাজার ঘনফুট মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদন করছে। দেশের চারটি মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটি অন্যতম বলে দাবি করেন তিনি।