কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, “আমার বাড়ি ভেঙেছে, আরও ভাঙুক। যদি তাতে দেশে শান্তি স্থাপন হয়, দেশের কল্যাণ হয়, আমি সবসময়ই রাজি আছি।”
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর শহরের জেলা সদর রোডে তাঁর বাসভবন ‘সোনার বাংলা’-এ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, “গত রাতে আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। ১০-১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি ঢিল ছুড়েছে, গাড়ি ভেঙেছে। আমি মামলা করবো। কোটা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পর আমরা এমন স্বৈরাচারী মনোভাব আশা করিনি। আওয়ামী লীগ যদি স্বৈরশাসক হয়, তবে এ কর্মকাণ্ডকে কী বলা যায়?”
তিনি আরও বলেন, “দেশ হাসিনার সঙ্গে ২৬ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। আওয়ামী লীগ আমাদের বহু কর্মসূচি করতে দেয়নি। এখন যদি সবাইকে আওয়ামী লীগের দোসর বানানো হয়, তাহলে মনে হবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে।”
কাদের সিদ্দিকী দাবি করেন, দালালদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আমরা কোনোদিন দালালি করিনি। দেশের মানুষই ঠিক করবে ‘জয় বাংলা’ থাকবে কিনা। তাঁর মতে, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ খুঁজছে।
তিনি আরও বলেন, “আমার বাড়ি যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে সাধারণ গরীব-দুঃখী মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে? সরকারকে বলবো, সরে দাঁড়ান। চোরাগোপ্তা হামলা বন্ধ করুন। দেশবাসীকে আহ্বান জানাই—আপনারা জাগ্রত হোন ও রুখে দাঁড়ান।”
সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।