কালিহাতী সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাইকরা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক সেলিম রেজা সাংবাদিককে সংবাদ সংগ্রহে বাঁধা প্রদান করেছেন।
এসময় তার মনগড়া সংবাদ না করতে চাওয়ায় ওই যুবলীগ নেতা সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছেন।
বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে হাওড়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
লাঞ্ছিত সাংবাদিক আ. ছাত্তার দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকায় টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ও বল্লা গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।
জানা গেছে, হাওড়াপাড়া গ্রামে জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী’র সাথে প্রতিবেশীর পরকিয়া চলছিল।
সম্প্রতি এলাকাবাসী আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করে। পরে যুবলীগ নেতা সেলিম রেজা মধ্যস্থতা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
ওই ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুস ছাত্তার মিয়া পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ঘটনাস্থলে যায়।
সেসময় স্থানীয় যুবলীগ নেতা সেলিম রেজা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর পারভেজ, সোহাগ, সোহান ও ফরমান সাংবাদিকে তার মনগড়া সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করতে চাপ প্রদান করেন।
এতে ওই সাংবাদিক রাজী না হওয়ায় যুবলীগ নেতা সেলিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় তার মোবাইল ফোন ভাংচুর এবং মারধর করে।
এক পর্যায়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন সাংবাদিককে উদ্ধার করে শালিস ত্যাগ করার পরামর্শ দেন।
পরে বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খন্দকার আব্দুল মাতিনের উপস্থিতিতে উপজেলার বালিয়াটা বাজারে বসে সাংবাদিককে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করেন।
কালিহাতী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা খন্দকার আব্দুল মাতিন বলেন, যেহেতু সবাই এলাকার সন্তান।
তাই ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিষয়টি সুরাহা করে দিয়েছি।
পাইকরা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক সেলিম রেজা বলেন, ঘটনাটি আমরা সামাজিকভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছি।
এসময় হঠাৎ ছবি তোলায় উত্তেজিত স্থানীয় কয়েকজন মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেওয়ার সময় তাদের মধ্যে টানা হেচড়ার ঘটনা ঘটে।
পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে স্থানীয় মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে ওই ঘটনার সমাপ্তি হয়।
এব্যাপারে পাইকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন জানান, আমরা ঘটনার বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস করাকালীন সাংবাদিক ছবি তোলার সময় সেলিম বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়।
বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও ন্যাক্কারজনক। আমি ওইখানে না থাকলে আরও বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল।