টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন ডাক্তার ও দুই শিশু সহ নতুন করে আরো ৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তারা হলেন, উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের সোমজানী গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে অন্তু (৮) এবং তার মেয়ে অথৈই (৭) এবং বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের সিংনা গ্রামের আক্রান্ত মহসীনের স্ত্রী মিতু (১৮)। এ নিয়ে এ উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৪ জনে।
এছাড়া উপজেলায় সুস্থ হয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন, উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের বীলপালিমা গ্রামের পিয়ার আলী, বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের জামাল, বল্লা ইউনিয়নের মিনতী রাণী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া খুরশিদা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পল্লবী থানার এএসআই শামীম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইদুর রহমান।
আক্রান্ত ওই দুই শিশুর মায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়, তারা বিগত ১ মাস আগে ঢাকা সদরঘাট থেকে গ্রামের বাড়ি সোমজানী আসে। তার মা খুবই অসুস্থ থাকায় তাকে দেখতে গত ২৮ মে ভুয়াপুর উপজেলার ছাব্বিশা গ্রামে যায়। সেখানে তার ভাই ঢাকা থেকে আগেই ওই বাড়িতে আসছিল। পরে ঈদের ছুটি কাটিয়ে তার ভাই গত ২৮ মে ঢাকায় চলে যায় এবং ঢাকায় গিয়ে করোনা পরীক্ষা করালে তার পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসার কারণে তার দুই শিশু সন্তান সহ পরিবারের ৫ জন গত ৩১ মে তাদের করোনা পরীক্ষার জন্য কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসলে কর্তৃপক্ষ গত ১ জুন নমুনা গুলো ঢাকায় পাঠিয়ে দিলে ৫ জুন রাতে তাদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে।
আক্রান্ত মিতুর স্বামীর সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়, তিনি আক্রান্ত হওয়ার অর্থাৎ গত ২৯ মে নমুনা দেওয়ার আগে তার সাথেই তার স্ত্রী একত্রে ছিল। পরে তিনি আক্রান্ত হওয়ার পর নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখেই বসবাস করে আসছিল। তিনি আক্রান্ত হওয়ার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার পরিবারের সকল সদস্যদের গত ৩১ মে নমুনা সংগ্রহ করা হলে ৫ জুন রাতে তার স্ত্রীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে। পরে আক্রান্ত ওই ৪ ব্যক্তির মধ্যে ৩ জনের বাড়ি কালিহাতী হওয়ায় তাদের বাড়ির সহ মোট বাড়ি সহ মোট ১৩ টি বাড়ি লকডাউন করে দেয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষ।