কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করে। এটি রক্ত পরিশোধন, টক্সিন ও অতিরিক্ত পানি বের করা, খনিজ ভারসাম্য রক্ষা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ হরমোন উৎপাদনের দায়িত্ব পালন করে। তবে কিডনির একটি বড় সমস্যা হলো, এটি প্রাথমিকভাবে কোনো লক্ষণ ছাড়াই ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যখন রোগ ধরা পড়ে, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়।
কিডনির সমস্যার সাধারণ লক্ষণ:
-
প্রস্রাবের ধরনে পরিবর্তন – বেশি বা কম প্রস্রাব হওয়া, ফেনাযুক্ত বা গাঢ় প্রস্রাব, রাতে বারবার প্রস্রাব বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত দেখা।
-
মুখ ও পা ফোলা – কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয় না, ফলে পা, গোড়ালি, হাত বা চোখের নিচে ফোলা দেখা দেয়।
-
ক্লান্তি ও দুর্বলতা – শরীরে বর্জ্য জমে ক্লান্তি বৃদ্ধি পায়, রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি থাকলেও দুর্বলতা বেড়ে যায়।
-
ক্ষুধা কমে যাওয়া ও বমি বমি ভাব – শরীরে টক্সিন জমে গেলে ক্ষুধা কমে যায়, মুখে ধাতব স্বাদ আসে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
-
ত্বক শুষ্ক ও চুলকানি – কিডনি খনিজের ভারসাম্য ঠিক না রাখতে পারলে ফসফরাস বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ত্বক শুষ্ক ও চুলকানিযুক্ত হয়ে ওঠে।
-
শ্বাসকষ্ট – কিডনি ব্যর্থ হলে শরীরে জমা পানি ফুসফুসে পৌঁছে শ্বাসকষ্ট বা বুক ভারী লাগার সমস্যা তৈরি করে।
কিডনি সুস্থ রাখার পরামর্শ:
-
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
-
লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
-
রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
-
ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
-
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।