ডেস্ক নিউজ : টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এরই মধ্যে এলাকার চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
ফলে কিছু কিছু এলাকায় ধান ক্ষেত বাদাম ও মরিচ খেত তলিয়ে গেছে।
আরো পড়ুন – আত্মসমর্পণের পর কারাগারে মাহমুদুর রহমান
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে ধরলা ব্রহ্মপুত্র দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কিন্তু কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সৃষ্ট বন্যায় তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক বসতভিটা এবং গ্রামীণ কাঁচা সড়ক নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
এতে শুধু রাজারহাট উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৬০০ পরিবার।
এছাড়া ৩ শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমী ফসলের খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি অফিস।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা বেগম বলেন, আমার উপজেলায় প্রায় ৬শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গতকাল কিছু পরিবারকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হঠাৎ করেই তো তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
আরো পড়ুন – ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১ হাজার ৫৮১ জন নিহত’
আমাদের লোকজন কাজ করছে মাঠে কি পরিমাণ ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে পড়ে জানা যাবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আজ সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করবে।
এছাড়া অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমবে। কিন্তু বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভবনা নেই।