লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার খামারগুলোতে এখন ঈদুল আজহার প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় খামারিরা।
মেঘনা নদীর উপকূলবর্তী চরাঞ্চলের খামারগুলোতে পালিত গরু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্যভিত্তিক হওয়ায় এগুলোর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ সবসময়ই বেশি। ফলে কোরবানির সময় এলেই এসব গরু ব্যবসায়ীদের প্রথম পছন্দে পরিণত হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, রামগতি ও কমলনগর মিলিয়ে মোট ২০৪টি গরুর খামার রয়েছে। এসব খামারে বর্তমানে ২৯ হাজার ৪০৭টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। রামগতিতে ১৫৯টি খামারে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০৭টি গরু এবং কমলনগরে ৪৫টি খামারে রয়েছে প্রায় ১২ হাজার গরু।
রামগতির বড়খেরী, চরগাজী ও বয়ারচরের খামারগুলো এখন গরু বাজারে তোলার শেষ প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। বয়ারচরের একটি খামারের ব্যবস্থাপক সানা উল্লাহ জানান, তাদের খামারে ২০৭টি গরু রয়েছে, যেগুলোর মূল্য ১.৫ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে। হোম ডেলিভারির সুবিধাও দিচ্ছেন তারা।
চরগাজীর খামার মালিক রুহুল আমিন জানান, তার খামারে কোরবানির জন্য ১৭২টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে।
রামগতি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন জানান, “এই অঞ্চলের ২৯ হাজার ৪০৭টি গরু বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত। আমরা প্রতিনিয়ত খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।”
কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রামগতি-কমলনগরের খামারগুলো এখন জমজমাট, গরু বিক্রির মৌসুমকে সামনে রেখে চলছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি।