আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৩২ হাজার ৮৫৯টি পশু। এর মধ্যে রয়েছে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি পশু মজুত থাকায় এবার বাইরের—বিশেষ করে ভারতীয়—পশুর প্রবেশ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১১০০ জন নিবন্ধিত খামারি রয়েছেন। তাদের খামার ও গৃহস্থ বাড়িতে মোট ৩২,৮৫৯টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। চাহিদা রয়েছে প্রায় ২২,৫০০টির মতো। ফলে ১০,৩৫৯টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে, যা অন্যত্র সরবরাহ করতে পারবেন খামারিরা।
স্থানীয় খামারিরা বলছেন, ভারতীয় গরু বাজারে এলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো জরুরি। গরুর ভালো দাম ও বিক্রি নিশ্চিতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা। তবে পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে এবার খামার পরিচালনা কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে বলেও জানান খামারিরা।
পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা এখন ভালো দামের অপেক্ষায়। তিলাই ইউনিয়নের খামারি নুরনবী জানান, তার খামারে ২৮টি গরু রয়েছে, এর মধ্যে ৩টি ইতোমধ্যে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, তার খামারে ১২টি গরু রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই বিক্রির উপযোগী।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আশিকুজ্জামান বলেন, “খামারিদের সেবা দিতে ভেটেরিনারি টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। ভারতীয় গরু প্রবেশ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত গবাদিপশু রয়েছে, যা জেলার বাইরেও সরবরাহ করা সম্ভব।”
এবার কোরবানির ঈদে স্থানীয় পশু বিক্রির মাধ্যমে লাভবান হওয়ার আশা করছেন ভূরুঙ্গামারীর খামারিরা।