অনলাইন ডেস্ক: কোরবানীর পশুর হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে আনা ভারতীয় গরু বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রাজধানীর কাপ্তান বাজারের দু’জন গরু ব্যবসায়ীর পক্ষে শনিবার আইনজীবী মুহম্মদ মাসুদুজ্জামান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশ প্রাপ্তির দুই কার্যদিবসরে মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব ও বন্যার কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের খামারিদের চরম দুঃসময় যাচ্ছে। ন্যায্য মূল্য না পেয়ে খামারিদের কম দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতীয় গরু এনে হাটে তুললে দেশীয় খামারিরা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়বেন।
এতে আরো বলা হয়, ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু আমদানির কোনো অনুমতি নেই। চোরাচালানের মাধ্যমে গরু আমদানি এবং বিক্রয় দুই-ই ফৌজদারি অপরাধ। ২২ জুন শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনলাইনে আয়োজিত চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন
টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জানানো হয়, এবার ঈদুল আজহায় কোরবানীর চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে গরু আনবে না সরকার। অন্যান্য বছর কোরবানীর আগে সীমান্তে বিট খাটালের (গরু বেচাকেনার এক ধরনের পদ্ধতি) মাধ্যমে গরু কেনাবেচা হয়। কিন্তু এবার ঈদের আগে সীমান্তে এভাবে গরু আনার অনুমতি সরকার দেয়নি। এছাড়া এবার দেশীয় খামারিরা যাতে গবাদি পশুর ভালো দাম পায়, তা নিশ্চিতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাতে নোটিশে বলা হয়, ইতিমধ্যে অসংখ্য ভারতীয় গরু অবৈধভাবে আনা হয়েছে এবং তা বিভিন্ন হাটে তোলা হচ্ছে।
সোনালী/এমই