নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ‘চ্যানেল ফি’ নিয়ে মারামারি ঘটনায় মামলা হয়েছে।
টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. আরিফুজ্জামান বাদি হয়ে এই মামলা করেছেন।
পাসপোর্ট অফিসের কথিত দালাল আলাউদ্দিনসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামীকে করে মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি বর্তমানে তদন্তনাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মাসুম হাসানের কক্ষে গেলে ক্যামেরা দেখে তিনি দৌঁড়ে অফিস ছেড়ে বের হয়ে তৃতীয় তলায় চলে যান।
২৮ মার্চ (মঙ্গলবার) টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পাসপোর্ট প্রতি এক হাজার দুই ২০০ টাকা ‘চ্যানেল ফি’ দিতে হয়।
এই টাকা না দিলে গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণসহ পাসপোর্টের আবেদনের ফাইল ছুড়ে ফেলা হয়।
আর দালালের মাধ্যমে ১২’শ টাকা ‘চ্যানেল’ ফি দিলে সসম্মানে পাসপোর্ট করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে এক হাজার ২০০ টাকা ‘চ্যানেল ফির’ জন্য আলাউদ্দিন নামের এক কথিত দালালকে অফিসে আটকে রাখেন আরিফুজ্জামান।
আলাউদ্দিনকে মারধর করার অভিযোগও রয়েছে।
সেই ক্ষোভে গত ৯ মার্চ আরিফুজ্জামানের উপর রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে আলাউদ্দিন।
এ ঘটনায় আরিফুজ্জামান টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
১২ মার্চ মো. আরিফুজ্জামান বাদি হয়ে পাসপোর্ট অফিসের কথিত দালাল আলাউদ্দিনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে অভিযুক্ত করে মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. মনির হোসেন তদন্ত করছেন।
সার্বিক পরিস্থিতি জানতে মামলার বাদি পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. আরিফুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, আমি ছুটিতে আছি; রোববার অফিসে আসেন, সব কথা বলবো।
উপ-পরিচালক যা বললেন ও করলেন –
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মাসুম হাসান বলেন, আপনি ডিজি স্যারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আসেন সাক্ষাৎকার দিতে হবে।
এসময় চ্যানেল ফি কি? জানতে চাইতে তিনি বলেন, আমার জানা নাই।
চ্যানেল ফি নিয়ে মারামারির ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানেন না এবং সেটা সাংবাদিকদের তৈরি বলেও উল্লেখ করেন।
এসময় তিনি বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি, সাক্ষাৎকার দিতে পারবো না।
এরপর ক্যামেরা দেখে তিনি রুম থেকে দৌঁড়ে বের হয়ে তৃতীয় তলায় উনার সরকারি বাসভবনে উঠে যান। সম্পাদনা – অলক কুমার