নিজস্ব প্রতিবেদক : দলের স্বার্থ পরিপন্থী বিরোধী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার দায়ে বহিস্কৃত দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে ক্ষমা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
ক্ষমা প্রাপ্তরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম ও দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর করা চিঠিতে এই ক্ষমা করার কথা জানানো হয়েছে।
তারা জানিয়েছেন, তিনি গত বুধবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তের চিঠি পেয়েছেন।
ক্ষমা ঘোষণা করে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা, তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থী সম্পৃক্ততার জন্য ইতিপূর্বে কাজী অলিদ ইসলামকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার/অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগ স্বীকার করে তিনি ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হওয়ার বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকার করেছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দলের গত ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাদের ক্ষমা করা হয়েছে।
তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বিবেচিত হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বহিষ্কার হওয়া নেতাদের আবেদনের ভিত্তিতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়।
ওই সভার আগে যাঁরা দোষ স্বীকার করে আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল।
পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাঁরা দোষ স্বীকার করে আবেদন করবেন, তাঁদেরও যাচাই-বাছাই করে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত হয়।
দলীয় সূত্র বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের ঐক্য ও শক্তি বাড়াতে বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে প্রতিটি আবেদন আলাদা আলাদাভাবে মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে দলের একটি কমিটিও রয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার