গাজায় ইসরায়েলি সামরিক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। নিহতদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে, আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
গাজার বিভিন্ন স্থানে তীব্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। আল জাজিরার আরবি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, খান ইউনিসের আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে, এতে সেখানকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
অবরুদ্ধ গাজায় স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও আবাসিক ভবনসহ বেশির ভাগ স্থাপনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে মাত্র ৩০ মিনিটে গাজায় ৩৫টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আহতদের উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছেন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী ও অ্যাম্বুলেন্স টিম।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু হয়েছে। হামাস মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক হামলা চালায়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।