গোপালপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে আলমনগর বয়ড়া পাড়া মসজিদে ক্যালেন্ডার লাগানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ উভয় পক্ষের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলমনগর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়া মসজিদ কমিটির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
গত ১৩ এপ্রিল বিকেলে উত্তরপাড়া মসজিদ কমিটির লোকজন দক্ষিণপাড়া মসজিদে গিয়ে ইমামের নামাজের স্থানের পাশে একটি ক্যালেন্ডার টাঙান।
মসজিদ কমিটির লোকজন বাঁধা দেওয়ার পরও তারা ক্যালেন্ডার টাঙিয়ে চলে যান।
পরে আলমনগর দক্ষিণপাড়া মসজিদ কমিটির লোকজন ক্যালেন্ডারটি মসজিদের বারান্দায় নিয়ে টাঙিয়ে রাখেন। পরদিন বুধবার বিকেলে আলমনগর উত্তরপাড়া মসজিদ কমিটি লোকজন ক্যালেন্ডারটি বারান্দায় দেখে আলমনগর দক্ষিণপাড়া মসজিদে থাকা লোকজনদের গালিগালাজ করতে থাকেন।
এ সময় আশরাফুল আলম ইয়াসিন নামে এক যুবক তাদের বাঁধা দিলে আলমনগর উত্তরপাড়া মসজিদ কমিটির লোকজন হাতুরি, রড, বাঁশের লাঠি নিয়ে আশরাফুল আলম ইয়াসিনসহ মসজিদের মুসল্লিদের ওপর হামলা করেন।
এতে আশরাফুল আলম ইয়াসিনসহ চারজন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় আলমনগর দক্ষিণপাড়ার তোরাপ আলী বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১২-১৩ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে আলমনগর উত্তরপাড়া মসজিদ কমিটির নিজাম বাদি হয়ে আলমনগর দক্ষিণপাড়া মসজিদ কমিটির লোকজনকে আসামি করে অপর একটি মামলা দায়ের করেন।
আলমনগর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দারা জানান, হাফেজ আমানউল্লাহর উস্কানিতে দীর্ঘদিন ধরে আলমনগর উত্তরপাড়া মসজিদ কমিটির সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে।
উস্কানির কারণেই আলমনগর দক্ষিণপাড়া মসজিদ ও মাদ্রাসা থেকে ভাগ হয়ে যায় আলমনগর উত্তরপাড়া।
আলমনগর উত্তরপাড়া মসজিদ কমিটির সভাপতি শমসের আলী মাস্টার বলেন, ‘ক্যালেন্ডার ছেড়াকে সংঘর্ষ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মিমাংসার দাবি জানাই।’
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় গোপালপু থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে।
মামলার পর আলমনগর উত্তরপাড়া মসজিদ কমিটির শামীম, আমানউল্লাহ ও আমিনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপর মামলায় দক্ষিণপাড়া মসজিদ কমিটির দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার