আজও ঘন, কালো এবং চকচকে চুলকে সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক মনে করা হয়। বাজারে নানা ধরনের চুলের পণ্য পাওয়া গেলেও রান্নাঘরের কিছু প্রাকৃতিক উপাদানও চুলের যত্নে চমৎকার ফলাফল দিতে পারে। বিশেষত আমলকী ও কারি পাতা চুলের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বজায় রাখতে খুব কার্যকর।
আমলকী ও কারি পাতার উপকারিতা:
আমলকী ও কারি পাতায় ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং খনিজ পদার্থ থাকে, যা মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুলকে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত শক্তিশালী করে।
আমলকী:
-
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। কোলাজেন চুলের শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।
-
আয়রন সমৃদ্ধ, যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুল দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে।
-
মেলানিন উৎপাদন বাড়ায়, ফলে চুলের প্রাকৃতিক কালো রং বজায় থাকে এবং পাকা চুল কমে।
-
প্রদাহ-বিরোধী ও শীতলকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা খুশকি ও মাথার ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে সহায়ক।
-
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা চুলের কোষগুলোকে দৈনন্দিন ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
কারি পাতা:
-
বিটা-ক্যারোটিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা চুল পড়া কমাতে এবং চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
-
চুলের ক্যারোটিন উৎপাদন বাড়ায়, যা চুলকে শক্তিশালী ও সুস্থ রাখে।
-
মেলানিন পুনরুদ্ধার করে, ফলে অকাল পাকা চুল কমে।
-
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিফাঙ্গাল যৌগে ধন্বন্তর, যা মাথার ত্বককে সতেজ ও টক্সিনমুক্ত রাখে।
-
ভিটামিন এ, বি, সি ও ই সমৃদ্ধ, যা চুল মসৃণ ও রেশমি করতে সাহায্য করে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
-
তাজা কারি পাতা ও কুঁচি করা আমলকী ব্যবহার করে নারকেল, কাঁচা মরিচ ও লেবুর সঙ্গে চাটনি তৈরি করে খাবারে যোগ করুন।
-
ডাল বা তরকারিতে কুঁচি করা আমলকী ও কারি পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
-
আমলকী ও কারি পাতা কুঁচি করে পানি, হলুদ ও আদার সঙ্গে সিদ্ধ করে ভেষজ পানীয় হিসেবে পান করুন।
-
সকালে স্মুদিতে কলা, পালং শাক, তিসি বীজের সঙ্গে আমলকী ও কারি পাতা যোগ করতে পারেন।
নিয়মিত আমলকী ও কারি পাতার সেবন চুলকে শক্তিশালী, চকচকে ও স্বাস্থ্যকর রাখে।