ক্লান্তি বা ঘুমের অভাবে হাই ওঠা খুবই সাধারণ। তবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়েও যদি বারবার হাই ওঠে, তাহলে সেটিকে হেলাফেলা করলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ— এমনই সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্বাভাবিক হাই ওঠা কখনো কখনো হৃদরোগের গুরুতর সংকেতও হতে পারে। এর পেছনে রয়েছে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ‘ভেগাস নার্ভ’ বা স্নায়ু। এই স্নায়ুটি মস্তিষ্ক থেকে শুরু হয়ে হৃৎপিণ্ড ও পাকস্থলী পর্যন্ত বিস্তৃত। যখন হৃৎপিণ্ডে রক্তচাপ বা হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়, তখন শরীর ও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়। এই সংকেত পেয়ে মস্তিষ্ককে বেশি অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে শরীর বারবার হাই তোলে।
চিকিৎসকদের ভাষায়, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আগে অনেকেই অস্বাভাবিক হাই তোলার অভিজ্ঞতা পান। বিশেষ করে হৃদপিণ্ডের চারপাশে রক্তক্ষরণের মতো জটিলতা দেখা দিলে ভেগাস স্নায়ু অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং হাই ওঠার প্রবণতা বাড়ে। এছাড়া হালকা শরীরচর্চা বা স্বাভাবিক শারীরিক পরিশ্রমের সময় যদি ঘন ঘন হাই ওঠে, তবে সেটি হৃদযন্ত্রের দুর্বলতার ইঙ্গিত হতে পারে।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু হাই ওঠাই আতঙ্কের কারণ নয়। যদি হাই তোলার সঙ্গে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা বা অতিরিক্ত ঘাম দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বিশেষত যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা পারিবারিক হৃদরোগের ইতিহাস আছে, তাদের এমন উপসর্গ এড়িয়ে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।