বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডায় প্রায়ই শোনা যায় এই প্রশ্ন: “চা নাকি কফি?” অনেক সময় দ্বিধায় পড়তে হয়, আবার কেউ চট করে বলে দেন, “আমি কফিই পছন্দ করি।”
কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী—চা নাকি কফি? চলুন বৈজ্ঞানিক তথ্যের আলোকে জানি।
ক্যাফেইন: সতর্কতা ও চাঙ্গা থাকার সহায়ক
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে কফি বা চা খাওয়া মানুষরা তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি স্বাস্থ্যবান হতে পারে। এর মূল কারণ হলো ক্যাফেইন, যা সতর্কতা বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে, মানসিক মুডকে ভালো রাখে এবং শারীরিক কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
-
কফি: প্রতি ৮ আউন্সে ৮০–১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন।
-
চা: প্রকারভেদে ৪০–৭০ মিলিগ্রাম (গ্রিন চায়ে বেশি, হার্বাল চায়ে প্রায় নেই)।
-
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন নিরাপদ।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট: কোষের ক্ষতি ও প্রদাহ কমায়
কফি ও চায়ে থাকে পলিফেনল—একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে এবং কোষের ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে। গ্রিন ও ব্ল্যাক চায়েতে পলিফেনল কফির সমপরিমাণ।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
-
কফি: হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার, বিষণ্ণতা ও স্নায়ু সম্পর্কিত সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত কফি পান দীর্ঘায়ুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
চা: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দৈনিক ২০০–৩০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইনযুক্ত চা বা কফি পানের মাধ্যমে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
উপসংহার
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দিক থেকে কফি থেকে চায়েতে যাওয়ার কোনো বিশেষ দরকার নেই। তবে সকালের পানীয়ে ভিন্নতা আনতে আপনি চাইলে কিছু ক্যাফেইনযুক্ত চা ট্রাই করতে পারেন।
বিঃদ্রঃ এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যবহুল উদ্দেশ্যে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।