জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বর্তমান চেয়ারম্যানের অপসারণ ও সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে রাজস্ব খাত সংস্কারের দাবিতে রবিবারও (২৯ জুন) ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সব গেট বন্ধ রয়েছে, কেউ ভেতরে বা বাইরে যেতে পারছেন না। কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে।
এনবিআর ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের হাতে দেখা গেছে নানা ব্যানার—‘দফা এক, দাবি এক, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ’ কিংবা ‘আব্দুর রহমান খানকে রেখে কোনো আলোচনা নয়’। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, চেয়ারম্যান দায়িত্বশীল আচরণ না করায় সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তারা জানান, চেয়ারম্যান সশস্ত্র নিরাপত্তায় অফিসে ঢুকছেন, আর কর্মকর্তারা রোদে-বৃষ্টিতে বাইরে আন্দোলন করছেন।
অচলাবস্থা নিরসনে শুক্রবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক হলেও কোনো সমঝোতা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার আহ্বান জানানো হলেও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা তাতে সাড়া দেননি।
এর আগে গত ১২ মে সরকার এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে দুটি নতুন বিভাগ গঠনের অধ্যাদেশ জারি করে। এর প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধারাবাহিকভাবে কলমবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এক পর্যায়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে ‘স্বাধীন ও বিশেষায়িত’ করার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত হলেও চেয়ারম্যান অপসারণের দাবি থেকে সরে আসেননি কর্মকর্তারা। ফলে ফের নতুন করে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে চরম অচলাবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।