টাঙ্গাইলে শিশু ছাত্রকে বলাৎকার করার দায়ে মাদ্রাসা শিক্ষককে পাঁচ বছর কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
টাঙ্গাইল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. কামরুজ্জামান বুধবার দুপুরে এই রায় দেন। দন্ডিত ব্যক্তির নাম মো. হাফিজুল ইসলাম। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বেলটিয়া গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্হান দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ছিলেন।
মামলার রায়ে তাঁকে কারাদন্ড ছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার রাষ্ট পক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি খন্দকার মো. রোকনুজ্জামান জানান, দন্ডিত মো. হাফিজুল ইসলাম ২০১৯ সালের ২৩ মে থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত তাঁর মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেনীর এক আবাসিক ছাত্রকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করেন।
এক পর্যায়ে ওই ছাত্র মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসায় চলে যায়। পরে বাবা মায়ের কাছে বলাৎকারের কথা খুলে বলেন। পরে ওই ছাত্রের বাবা বাদি হয়ে ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ওই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনির আহমেদ হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বুধবার আদালত রায় দেন।
রায় ঘোষনার সময় হাফিজুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, মামলা দায়েরের পরেই হাফিজুল ইসলামকে পুলিশ গ্রপ্তার করেছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। মামলা দায়েরের পরেই তাকে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়।