টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা আজ আলোচিত একটি নাম – কারণ এখানে দায়িত্ব পালন করছেন এমন একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, যিনি শুধু প্রশাসনিক কর্মকর্তা নন, বরং সাধারণ মানুষের প্রকৃত বন্ধু ও সেবক। তিনি হলেন মো. জুবায়ের হোসেন, ৩৫তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও মানবিক কর্মকর্তা।
ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়ায় জন্ম নেওয়া জুবায়ের হোসেন ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ও কর্মঠ ছিলেন। জীবনের বড় ধাক্কা আসে মাত্র ১৪ বছর বয়সে, যখন অপচিকিৎসার কারণে তিনি বাম হাত হারান। কিন্তু সেই প্রতিবন্ধকতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রমকে পুঁজি করে তিনি আজ প্রশাসনে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
২০১৭ সালে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে প্রশাসনিক জীবনের সূচনা করেন তিনি। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে দ্রুত মানুষের আস্থা অর্জন করেন। ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই উন্নয়ন, সুশাসন ও স্বচ্ছতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন।
তার উদ্যোগে খাস জমি উদ্ধার, শিক্ষা খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ফুটপাত দখলমুক্তকরণ, সড়ক ও ড্রেন সংস্কার, টিআর-কাবিখার স্বচ্ছ বাস্তবায়নসহ নানা কার্যক্রমে মধুপুরবাসীর আস্থা ফিরেছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হলো অবৈধ পাহাড়ি লাল মাটি ও টিলা কাটা বন্ধ করা, যা পরিবেশ সংরক্ষণে বড় অবদান রেখেছে। পাশাপাশি তিনি প্রায়ই বিদ্যালয় পরিদর্শন করে শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছেন, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কার্যকরী উদ্যোগ নিচ্ছেন।
মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তিনি সবার কাছে আরও কাছের হয়ে উঠেছেন। অফিসে আসা প্রতিটি মানুষকে হাসিমুখে গ্রহণ করে দ্রুত সেবা প্রদানের চেষ্টা করেন তিনি। ফলে সাধারণ মানুষ দালাল ও ভোগান্তিমুক্ত সেবা পাচ্ছে।
রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তার কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, মো. জুবায়ের হোসেন কেবল একজন কর্মকর্তা নন, বরং মধুপুরবাসীর আশার আলো।