জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল এবং বাগছাসের (বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ) নবগঠিত কমিটিতে হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের পদায়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ।
রবিবার (১০ আগস্ট) এক যৌথ বিবৃতিতে শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অদ্রি অঙ্কুর ও সাধারণ সম্পাদক ফাইজান আহমেদ অর্ক বলেন, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা ক্যাম্পাসের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে। তাদের দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী শামীম মোল্লা হত্যার মামলার তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় অভিযুক্তদের গুরুত্বপূর্ণ পদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া ও ক্যাম্পাসের নৈতিক পরিবেশের জন্য গুরুতর হুমকি।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে শামীম মোল্লা হত্যা মামলার আসামি আহসান লাবিবকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব করা হয়েছে। একইভাবে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটিতে পলাতক আসামি হামিদুল্লাহ সালমানকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সভাপতি ও কমিটির সদস্য, রাজু আহমেদকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মোহাম্মদ রাজন মিয়াকে সদস্য করা হয়েছে। ছাত্র ইউনিয়নের দাবি, এসব পদায়ন তদন্তাধীন গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তদের জন্য ‘অস্বাভাবিক রাজনৈতিক বৈধতা’ দিচ্ছে।
সংগঠনটি অভিযোগ করে, ২০১৯ সালের ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও দমন-পীড়নের পেছনে থাকা আওয়ামীপন্থী সোহেল আহমেদ এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি পদে বহাল রয়েছেন। এছাড়া, সাম্প্রতিক জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সহযোগী কিছু আওয়ামীপন্থী শিক্ষকও বিচারের বাইরে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।
ছাত্র ইউনিয়নের মতে, এসব পরিস্থিতি সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির পথে বড় বাধা। তারা জোর দিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাজনৈতিক সংগঠন ও সব অংশীজন সহনশীলতা ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এলে জাকসু (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।