আজ ২৪ এপ্রিল, ভয়াল রানা প্লাজা ধসের ১২ বছর পূর্ণ হলো। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারে আটতলা রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারান ১,১৩৫ জন গার্মেন্টস শ্রমিক। আহত হন আরও হাজারো মানুষ। সেই ভয়াল দিনের বেদনাবিধুর এক সাক্ষী দিনাজপুরের রেবেকা বেগম, যিনি ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়ে দুই পা হারিয়েছেন।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ওই দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করেন রেবেকা। দুর্ঘটনার সময় রানা প্লাজার দ্বিতীয় তলায় পরিবারের আরও ছয় সদস্যের সঙ্গে কাজ করছিলেন তিনি। হঠাৎ ভবনটি বিকট শব্দে ধসে পড়ে। দু’দিন পর তাকে উদ্ধার করা হলেও, তার মা, দাদি ও ফুফুসহ চারজনের খোঁজ মেলেনি আর কখনো।
এক বছর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গ্রামে ফিরে আসেন রেবেকা। এখন দুই সন্তানের মা তিনি। জীবনের লড়াই থেমে নেই তার। দুই হাতে ভর করেই সামলাচ্ছেন সংসার ও সন্তানদের পড়ালেখা।
রেবেকা বলেন, “একটা জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছি। তবে বাঁচতে চাই আরও অনেকদিন, শুধু আমার দুই সন্তানকে মানুষ করার জন্য।”
তিনি জানান, তার কাটা পায়ের হাড় বেড়ে গেছে, ডাক্তার অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন, কিন্তু টাকার অভাবে সেটাও করাতে পারছেন না।
রানা প্লাজার ধস শুধু একটি ভবন ধস নয়, এটি হাজারো জীবনের চিরতরুণ ক্ষত। অনেকেই আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন সেই স্মৃতি ও যন্ত্রণার ভার। ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের অধিকাংশের জীবন থেমে আছে ২০১৩ সালের সেই ভয়াল এপ্রিলের সকালেই।