বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জানান, হুমায়ন রশীদ আকন্দ সোনা আর্থিকভাবে অনেক শক্তিশালী।
তাই টাকা পয়সা খরচ করে অনেক নেতার আস্তা অর্জন করতে পেরেছেন।
আর সেই নেতাদের ম্যানেজ করেই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ নিতে পেরেছেন।
গত রোববার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে পুরোনো অনেক নেতারা প্রার্থী হলেও হুমায়ন রশীদ আকন্দ সোনাকে সভাপতি হিসেবে ঘোষনা দেওয়া হয়।
এ নিয়ে টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। বিএনপির নেতাকে দলের পদ দেওয়ায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, সোনা ১৪ সালের নির্বাচনের সময় জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন।
তার মতো চিহ্নিত বিএনপি নেতাকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আনা ঠিক হয়নি।
এসময় তারা আরো বলেন, নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী ভাবতে লজ্জা লাগছে। আমাদের শীর্ষ নেতারা টাকার জন্য আওয়ামী লীগকে বিক্রি করতেছে।
জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, হুমায়ন রশীদ আকন্দ সোনার নেতৃত্বেই ওই ওয়ার্ডে বিএনপির সকল কার্যক্রম পরিচালিত হতো। কয়েক বছর আগে থেকে তিনি আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ শুরু করেন।
হুমায়ন রশীদ আকন্দ সোনা টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সোনা দল থেকে পদত্যাগ করেনি; দলও তাকে বহিষ্কার করেনি। এই অবস্থায় ওই ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।
নেতাদের বক্তব্য –
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহমেদ মজিদ সুমন বলেন, এ অবস্থায় নিজের পদ ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা হচ্ছে।
আাগামীতে বিএনপির আন্দোলন মোকাবেলায় এসব নেতাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তাছাড়া হুমায়র রশীদ আকন্দ সোনা এখনও পর্যন্ত বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেনি। এমনকি বিএনপি থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়নি।
এব্যাপারে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান খান শফিক বলেন, হুমায়ন রশীদ আকন্দ সোনা ২০১৭ সাল পর্যন্ত সে বিএনপির ৩নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলো।
এরআগে ১৯৯৭ সালে সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
দল থেকে এসব নেতা বের যাওয়া অবশ্যই দলের ব্যর্থতা ও নেতৃত্বের ব্যর্থতা বলে মনে করেন তিনি।
শফিক আরো বলেন, আমার জানা মতে সে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেনি এবং তাকে বহিষ্কারও করা হয়নি।
এ বিষয়ে চানতে চাইলে হুমায়ন রশীদ আকন্দ সোনা বলেন, আমি ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করি এবং নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করি।
ওই বছরই বিএনপি থেকে পদত্যাগ করি আমি। সম্পাদনা – অলক কুমার