টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ঘুরে অবৈধভাবে সিমকার্ড বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অশিক্ষিত ও সরল গ্রামীণ মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র ও আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে একাধিক সিমকার্ড ও বিকাশ একাউন্ট খোলা হচ্ছে। পরবর্তীতে এসব একাউন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতারণা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বেড়া ডাকুরি গ্রামের মসলা ব্যবসায়ী আমজাদ আলী (৪৫) তিন বছর আগে ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে আঙুলের ছাপ ও এনআইডি দিয়ে সিমকার্ড নিয়েছিলেন। সম্প্রতি প্রতারণার অভিযোগে মামলা হলে তিনি জানতে পারেন, ওই সিমকার্ড ও বিকাশ একাউন্ট তার নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। তবে তিনি কখনোই ওই নম্বর ব্যবহার করেননি।
একইভাবে জামতৈল গ্রামের ফাতেমা বেগম (৬৮) জানান, কয়েক বছর আগে ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে মাত্র ২০ টাকায় সিমকার্ড কিনেছিলেন। পরে জানতে পারেন, তার নামে একাধিক সিমকার্ড ও বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়েছে এবং সেগুলো প্রতারণায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনা কোনাবাড়ি বাজারের রনি মিয়ার সঙ্গেও ঘটেছে। তিনি ফেরিওয়ালার কাছ থেকে সিম কিনলেও পরে দেখেন, তার এনআইডি দিয়ে আগেই বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে রবি ও এয়ারটেলের মধুপুর জোন ম্যানেজার তারেক হোসেন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে গোপালপুরের পুরো হাউজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং পূর্বে দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে টেকনিক্যালভাবে এমন ঘটনার সুযোগ নেই।
স্থানীয় দোকান মালিক আশরাফুল আলম বলেন, “গ্রাহকদের সচেতন হতে হবে। অনুমোদিত দোকান ছাড়া পথেঘাটে সিমকার্ড কেনা উচিত নয়।”
ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার বলেন, “আমার এলাকায় ফেরি করে সিমকার্ড বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কাউকে পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গোপালপুর থানার ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন জানান, এ প্রতারণা চক্রের সন্ধান করা হচ্ছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।