ঘাটাইল প্রতিনিধি : টাকায় শুধু বন্ধুত্বই নষ্ট হয় না, জীবনও নষ্ট হয়; শেষে যে হত্যা বা খুন হয় এমন নজির অনেক আছে।
এরকম আরো একটি মৃত্যু হলো টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে।
‘দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব নাজির হোসেন (৬৩) ও শামসুল হকের (৬২) মধ্যে। দু’জন, দু’জনের বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল নিয়মিত।
বন্ধুত্বের সুবাদে ব্যবসা করার কথা বলে নাজির ৮ লাখ টাকা ধার নেন শামসুল হকের থেকে।
দীর্ঘ সময় গড়ালেও ধারের টাকা আর ফেরত দেন না নাজির। ফাঁটল ধরে বন্ধুত্বে।
সেই টাকা নিয়ে এরই মধ্যে দেন-দরবার হয়েছে প্রায় ৮ থেকে ১০ বার। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে টাকা ফেরত দিবে বলে ফোন করে নাজির তার বাড়িতে ডাকেন পুরনো বন্ধু শামসুলকে।
তার আর বাড়ি ফেরা হলো না।’ কথাগুলো বলছিলেন শামসুলের স্ত্রী নূরবানু (৫৬)।
স্ত্রীর দাবি পাওনা টাকা চাওয়ায় মেরে তার স্বামীর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের গাংগাইর মধ্যপাড়া নাজিরের রান্না ঘরের পেছন থেকে শামসুল হকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শামসুল হক গাংগাইরের পার্শ্ববর্তী সরাশাক গ্রামের হবি সরকারের ছেলে। নাজির হোসেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কাজ চলছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। সম্পাদনা – অলক কুমার